বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দিবা-ইলা-নিশি


অধিক প্রস্তুতির দরকার নেই, দৃঢ় মনোবল থাকাটাই জরুরি

নোমান'স কেয়ার প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমার মনের ভিতর সবসময় একটা বিষয় তাড়না দেয়। সেটা হলো শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ করা। শুধু পড়াশুনায় ডুবে থাকাই মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরা, জ্ঞানকে প্রসারিত করাই জীবনের সার্থকতা। তাই সবসময় চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পাশাপাশি প্রতিভার সর্বোচ্চ বিকাশ করাতে। হয়তো এগুলো করতে গিয়ে হিতের বিপরীতও হয় কখনো কখনো। কিন্তু আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি সবসময়। কারণ নিঃস্বার্থ ভাবনা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। কী পেলাম বা পাবো এই চিন্তা কখনোই মনে আসে না। হয়তো আমার চেষ্টা একসময় হারিয়ে যাবে অন্য কোনো দিগন্তে! তবে প্রিয় শিক্ষার্থীদের সাফল্য আমাকে দেয় স্বর্গীয় সুখ। এটাই আমার প্রাপ্তি।

এখন আসি মূলকথায়, হঠাৎ ফোন আসে জেলা শিশু কর্মকর্তা মহোদয়ের, যে একটা বিতর্কের টিম দরকার। আমি তাকে বলি সেরকম টিম তো আমার কাছে নাই। তবে দেখি কি করা যায়। তারপর সবাইকে কল দিয়ে বলি। দিবা, নিশি ও ইলাকে টিম বানিয়ে নাম পাঠিয়ে দেই। ওরা নিজের মতো করে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার দিন ওদের মোটামুটি প্রস্তুত করি। কিন্তু কেউ সাহস পাচ্ছিলো না। কারণ বিতর্কের বিষয় নির্ধারিত ছিলো না। লটারির মাধ্যমে বিষয় নির্ধারিত হবে। এক তো ওদের বিতর্কের অভ্যাস নেই। তাই বারবার বলতেছিলো দিবো না। পরবর্তীতে অভিভাবক ও আমার নির্দেশনায় অংশগ্রহণ করে। আলহামদুলিল্লাহ, গার্লস স্কুলের আরেকটি টিম, কালেক্টরেট স্কুল ও পুলিশ লাইন স্কুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বিজয়ের মুহুর্তটা আমার কাছে অনেক আনন্দের ছিলো। যাক, ওদের ভয় কাটিয়ে সাফল্য বয়ে আনতে পারায় অভিনন্দন জানাই। ভয়কেনজয় করতে হবে, এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে।

একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করো। শুভকামনা তোমাদের জন্য।  

Post a Comment

Previous Post Next Post